কানাডা সরকার নতুন বছরে দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওপর বাড়ি ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা কারি করেছে। নতুন আইনটি পহেলা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন এ আইনটি পহেলা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী আগামী দুই বছর যারা কানাডার নাগরিক নন তারা কোনো বাড়ি ক্রয় করতে পারবেন না।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে বাড়ির দাম বেড়েছে। এছাড়া দেশটির কিছু রাজনীতিবিদরা মনে করছেন বিদেশিরা বাড়ি ক্রয় খাতে বিনিয়োগ করার কারণে বাড়ির দাম অনেকে বেড়েছে। ।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পার্টির প্রচারাভিযান ওয়েবসাইট বলছে, কানাডিয়ান বাড়ির আকাঙ্ক্ষা মুনাফাভোগী, ধনী করপোরেশন এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে। এর ফলে বাড়ির দাম আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। তবে একে বিনিয়োগ বলা যাচ্ছে না। কারণ এগুলো মানুষের বাড়িতে পরিণত হচ্ছে।
কানাডিয়ান রিয়েল স্টেট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ২০২০ এবং ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাড়ির দাম করেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ দাম ছিল ৮ লাখ কানাডিয়ান ডলার। যা বর্তমানে আরও ১৩ শতাংশ কমেছে। তবে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোর কারণে বাড়ির দাম বেড়েছে। বলা হচ্ছে এ হার যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা অনুসারে, দেশটিতে বিদেশিদের বাড়ির মালিকানা পাঁচ শতাংশেরও কম। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির জাতীয় আবাসন সংস্থা কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং কর্পোরেশন গত বছরের জুনের একটি প্রতিবেদনে বলেছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটিতে প্রায় ১৯ মিলিয়ন হাউজিং ইউনিট প্রয়োজন হবে। এর অর্থ হলো দেশটিতে আরও ৫.৮ মিলিয়ন নতুন বাড়ি তৈরি করতে হবে।
বাড়ি ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার আইনটি ভালোভাবে নেয়নি কানাডার রিয়েল স্টেট অ্যাসোসিয়েশন। তার বলছে, কানাডা বহু জাতি এবং সংস্কৃতি সমন্বিত একটি দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতিকে এ দেশে আহ্বান করা হয়। কিন্তু বাড়ি ক্রয়ের নতুন আইটি জারির ফলে বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য তারা এ আইন বাতিলের দাবি জানান।
সুত্র: সিএনএন ও ইকোনমিক্স টাইম।